নাটোরের লালপুরে মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে প্রেমিক ও প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠে প্রেমিকের আতœহত্যার খবর পেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরে ঝুলে আত্মহত্যা করে উপজেলার শ্রীরাম গাড়ি গ্রামে প্রেমিকা পপি খাতুন (১৬)। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে একই উপজেলার নবীনগর গ্রামে প্রেমিক এজাজুল করিম (২২) গলায় গামছা পেঁছিয়ে ঘরের তীরে ঝুলে আতœহত্যা করে। এজাজুল করিম নবীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক্যাল কলেজের সিভিল শাখার ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং পপি খাতুন শ্রীরাম গাড়ী গ্রামের সাজদার আলীর মেয়ে ও পাটিকাবাড়ী বিলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পপি খাতুনের পাশ্ববর্তী বাড়ির এক মেয়ের বিয়ে হয় নবীনগর গ্রামে। এই সূত্র ধরে এজাজুল করিম এর সাথে পরিচয় হয় পপির এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজনের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে শনিবার রাতে এজাজুল করিম গলায় গামছা বেঁধে নিজ ঘরে তীরের সাথে ঝুলে আত্মহত্য করে। এদিকে প্রেমিক এজাজুলের মৃত্যুর খবর শুনে পপিও তার নিজ ঘরের তীরের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশ তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ দুই প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যর ঘটনা নিশ্চিত করে জানান এদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে কি কারণে তারা আতœহত্যার পথ বেছে নিলো তা তদন্ত না করে বলা যাবে না। তাদের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলঅ রুজু করা হয়েছে।

Comments
Post a Comment