একাত্তরের উত্তাল মার্চ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও ২৫ শে মার্চের হত্যাযজ্ঞের পর বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশমাতৃকার টানেই
মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন নাটোর পৌর ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আমিরুল
ইসলাম খান বাবুল। নাটোরের লালপুর উপজেলার ময়না গ্রামে পাকসেনাদের সাথে
সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে তাদের পরাজিত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৯ এপ্রিল গোপনে মায়ের সাথে দেখা করতে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার বাসায় আসেন বাবুল। বাবুলের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজাকাররা পাক সেনাদের খবর দেয়। বর্বর সেনারা কাপুরুষোচিতভাবে নিরস্ত্র যোদ্ধা বাবুলকে সেদিন তুলে নিয়ে যায় মায়ের চোখের সামনে। পাক সেনারা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাবুলের সাথেই শহীদ হন শহরের গাড়িখানা এলাকার মজিবর রহমান রেজা, কানাইখালীর গোলাম রব্বানী রঞ্জু,সেলিম চৌধুরী। শহীদ রেজা ও রঞ্জুর মৃতদেহ নাটোরে পাওয়া গেলে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কানাইখালীতে রঞ্জুর বাড়ির সামনে তাদেরই দেয়া এক চিলতে জায়গায় দাফন করেন। শহীদ সেলিম চৌধুরী নওগাঁয় শহীদ হওয়ায় এবং বাবুলের লাশ পাকবাহিনী ফেরত না দেয়ার পরেও নাটোরবাসী এই চার বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখিয়ে শহীদ রেজা-রঞ্জুর কবরের সাথেই শহীদ সেলিম ও বাবুলের নামে প্রতিকী কবরের ব্যবস্থা করে ঘিরে দেন। এর পর থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে এই চার শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন ও নাটোরবাসী। অথচ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নামই নেই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম খান বাবুলের। শহীদ বাবুলের নাম নাটোর বাসীর মুখে মুখে থাকলেও পরিবারের দাবি আশ্চর্যজনক ভাবে শহীদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাতেই নাই।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবুলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ বাবুলের ভাই রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ভাগিনী রুখসানা পারভিন সহ পরিবারের অন্যান্য স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। চার বীরের মধ্যে রেজা, রঞ্জু, সেলিমকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হলেও বাবুলকে দেওয়া হয়নি মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা।
শহীদ বাবুলের ভাই রবিউল ইসলাম আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন,' নাটোরের মানুষ জানে আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অথচ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সেই। বিভিন্নসময় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হলেও সর্বজনবিদিত এক শহীদের খোঁজ নিয়ে কেউ তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়ার জন্য আসেনি। "
এ ব্যাপারে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, বাবুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলে জনশ্রুতি রয়েছে। শহীদ বাবুলকে প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন। তবে এতদিনেও শহীদ বাবুলের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কেন হয়নি সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে শহীদ বাবুলের পরিবার আগ্রাহী হয়ে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৯ এপ্রিল গোপনে মায়ের সাথে দেখা করতে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার বাসায় আসেন বাবুল। বাবুলের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজাকাররা পাক সেনাদের খবর দেয়। বর্বর সেনারা কাপুরুষোচিতভাবে নিরস্ত্র যোদ্ধা বাবুলকে সেদিন তুলে নিয়ে যায় মায়ের চোখের সামনে। পাক সেনারা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাবুলের সাথেই শহীদ হন শহরের গাড়িখানা এলাকার মজিবর রহমান রেজা, কানাইখালীর গোলাম রব্বানী রঞ্জু,সেলিম চৌধুরী। শহীদ রেজা ও রঞ্জুর মৃতদেহ নাটোরে পাওয়া গেলে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কানাইখালীতে রঞ্জুর বাড়ির সামনে তাদেরই দেয়া এক চিলতে জায়গায় দাফন করেন। শহীদ সেলিম চৌধুরী নওগাঁয় শহীদ হওয়ায় এবং বাবুলের লাশ পাকবাহিনী ফেরত না দেয়ার পরেও নাটোরবাসী এই চার বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখিয়ে শহীদ রেজা-রঞ্জুর কবরের সাথেই শহীদ সেলিম ও বাবুলের নামে প্রতিকী কবরের ব্যবস্থা করে ঘিরে দেন। এর পর থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে এই চার শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন ও নাটোরবাসী। অথচ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নামই নেই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম খান বাবুলের। শহীদ বাবুলের নাম নাটোর বাসীর মুখে মুখে থাকলেও পরিবারের দাবি আশ্চর্যজনক ভাবে শহীদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাতেই নাই।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাবুলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। সোমবার দুপুরে নাটোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ বাবুলের ভাই রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, ভাগিনী রুখসানা পারভিন সহ পরিবারের অন্যান্য স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। চার বীরের মধ্যে রেজা, রঞ্জু, সেলিমকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হলেও বাবুলকে দেওয়া হয়নি মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা।
শহীদ বাবুলের ভাই রবিউল ইসলাম আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন,' নাটোরের মানুষ জানে আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। অথচ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সেই। বিভিন্নসময় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হলেও সর্বজনবিদিত এক শহীদের খোঁজ নিয়ে কেউ তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়ার জন্য আসেনি। "
এ ব্যাপারে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, বাবুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলে জনশ্রুতি রয়েছে। শহীদ বাবুলকে প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন। তবে এতদিনেও শহীদ বাবুলের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কেন হয়নি সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে শহীদ বাবুলের পরিবার আগ্রাহী হয়ে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

Comments
Post a Comment