জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক॥
নাটোরের সুতা ব্যবসায়ীরা মানছেন না সরকারী নীতিমালা। সরকার কতৃর্ক বেধে দেওয়া রাজস্ব না দিয়ে দিনের পর দিন ব্যবসা করে চলেছেন জেলার সুতা ব্যবসায়ীরা। নাটোর শহরে প্রায় দশ থেকে পনেরটি দোকান আছে যারা কেউ এখনও জানেন না যে এই ব্যবসা করতে হলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হয় সেই সঙ্গে দিতে হয় জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন তহবিলে।
নাটোরের নিচাবাজারে চপলা ষ্টোর, রাজা ষ্টোর, টুকিটাকি ষ্টোর, সহ নাটোরের কমলা সুপার মার্কেটে রয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান। যেখান থেকে পুরো জেলাতেই সুতা পাইকারী বিক্রি হয়। সাড়া বছর এই দোকান মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করছেন অথচ সরকারী কাষাগারে যাচ্ছে না রাজস্ব।
সুতা ব্যবসা করার জন্য একটি দোকানে ট্রেড লাইসেন্স থাকার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ভাবে ডিলিং লাইসেন্স থাকতে হবে কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায় নাটোরের কোন সুতার দোকানে নেই ডিলিং লাইসেন্স।
জেলা প্রসাশকের কার্যালেয়র সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা যায় একটি ডিলিং লাইসেন্স পেতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখায় আবেদন করতে হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়। তারপর আবেদনকারী এক হাজার দুইশত টাকার চালান জমা দিতে হয় সঙ্গে পনের শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এল .আর ফান্ডে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।
সর্বমোট একটি ডিলিং লাইসেন্স পেতে ছয় হাজার তিনশত আশি টাকা ব্যয় হয় এবং প্রতি বছর নবায়ন করতেও একই পরিমাণ ব্যয় হয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একটি দোকানের লাইসেন্স না করা বা নবায়ন না করার জন্য সরকার ছয় হাজার তিনশত আশি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে শুধু একটি দোকান থেকে। প্রায় দশ থেকে পনেরটি দোকানের লাইসেন্স বাবদ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এর বাইরে জেলা প্রশাসকের এল.আর ফান্ডও বঞ্চিত হচ্ছে।
দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে চপলা ষ্টোরের মালিক সনাতন কুমার দালাল জানান, প্রায় চব্বিশ বছর যাবত ব্যবসা করছি আমার এই বিষয়টি জানা নেই। আর এজন্য দাপ্তরিক ভাবে কোন রকম নোটিশও পাইনি কখনও।
এই প্রেক্ষিতে নাটোর জেলা প্রশাসকের নেজারত শাখায় কথা বললে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অনিদ্য মন্ডল বলেন, রাজস্ব আদায়ের ১৯৫৬ সালের আইনের ৩ উপধারা (১)(২)(৩), অত্যাবশকীয় আদেশ ১৯৮১ ধারা ২৩ অনুযায়ী রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উল্লেখ আছে। জানুয়ারী মাসের ২২ তারিখে নাটোরের সুতা দোকানগুলোতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে স্পষ্টভাবে তিন দিন সময় বেধে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের একমাস পার হয়ে যাবার পরও যেহেতু তারা কোন রকম যোগাযোগ করেনি তারা। যে কোন দিন অভিযান চালিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
Comments
Post a Comment