নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর
নাটোর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপেজলার বেশকিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে সদ্য গুটি আসা আম ও আমের মুকুল, সজিনা, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সোয়া দুইটার সময় শুরু হয় ঝড় আর বৃষ্টি। সাথে গুড়ি গুড়ি শিলা বৃষ্টিও। প্রায় আধাঘন্টা ধরে চলে এই ঝড় আর বৃষ্টি ও বজ্রপাত।
এরআগে রাত ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় প্রায় আধা ঘন্টা ভারী ও হালকা বৃষ্টির সাথে প্রচুর শিলা পড়তে থাকে এবং সঙ্গে দমকা বাতাস প্রবাহিত হয়।
লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ী গ্রামের একজন কৃষকের বরাত দিয়ে লালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব রায়হান জানান, শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে সদ্য গুটি আসা আম ও আমের মুকুলের, রসুন, বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা।
তিনি জানান, ঝড়ের কারনে অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। কোথাও কোথাও বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে রাতের কারনে সঠিক কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
এদিকে বৈশাখ মাস শুরু না হতেই হঠাৎ কাল বৈশাখীর থাবায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ঝড়কে বছরের শুরুতে প্রকৃতির অশনিসংকেত বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

Comments
Post a Comment