নাটোর চিনিকলে সিবিএ নির্বাচন বহিরাগত ব্যক্তিকে প্রার্থী করার প্রস্তাবে ক্ষুদ্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা



নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর চিনিকল সিবিএ নির্বাচনে বহিরাগত ব্যক্তিকে প্রার্থী করার প্রস্তাবে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সাধারন সভায় মিলের সাবেক কর্মচারী ও বহিস্কৃত শ্রমিক ওয়াজেদ আলীকে আগামী সিবিএ নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী  করার  প্রস্তাব করা হলে উপস্থিত অধিকাংশ শ্রমিক কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশসহ প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে অধিকাংশ শ্রমিক কর্মচারী সভাস্থল ত্যাগ করলে দ্রুত সভা শেষ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, সোমবার সিবিএ সভাপতি হাবিবুল্লাহ’র সভাপতিত্বে চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সভা শুরু হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিবিএ সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান ,সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল জলিল পান্না, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম প্রমূখ। সভার একপর্যায়ে বহিস্কৃত শ্রমিক ও সাবেক সিবিএ সাধারন সম্পাদক ওয়াজেদ আলীকে আগামী সিবিএ নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করে শ্রমিক কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় ওয়াজেদ আলীর পক্ষ নিয়ে সরকারী দল সমর্থক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে এই প্রস্তাবের বিরোধীতা অধিকাংশ শ্রমিক কর্মচারী সভাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় কোরাম সংকট দেখা দিলে দ্রুত সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সিবিএ’র সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান জানান, সভাস্থলে উপস্থিত প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ওই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। বিরোধীতা সত্বেও একটি পক্ষ জবরদস্তি করে তাদের প্রস্তাবের পক্ষে মতামত নেওয়া চেষ্টা করলে অধিকাংশ শ্রমিক সভাস্থল থেকে বের হয়ে যান। তিনি নিজেও তাদের সাথে বের হয়ে আসেন। ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে মতামত দিয়ে তারা বের হয়ে আসেন। এমন উদ্যোগ গঠনন্ত্র বিরোধী।
সভার সভাপতি খলিলুল্লাহ জানান, ২০০৬ সালে শ্রম আইনের ১৮০ এর ১ (খ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে বহিরাগত ১০ ভাগ শ্রমিক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ওই ধারা অনুমোদন করা হয়েছে। ওয়াজেদ আলী ওই ধারা বলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতেই সংবিধানের ওই ধারা অনুমোদিত হয়েছে।
নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সভার কথা শুনেছেন। আগামী সিবিএন নির্বাচনে বহিরাগত কাউকে প্রার্থী করার প্রস্তাবে সভা থেকে অধিকাংশ শ্রমিক কর্মচারী বের হয়ে যান। এতে উপস্থিতি এক তৃতীয়াংশ কম হওয়ায় সভা দ্রুত শেষ হয়েছে বলে শুনেছেন। তবে শ্রম আইনের ওই ধারা তিনি নিজে এখনও দেখেননি বা অবগত নন। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গঠনতন্ত্র সংশোধন বা সংযোজনের বিষয়টি শ্রমিক সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখার কথা। তাদের প্রতিনিধিও সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে জেনেছেন।


Comments